প্রিয়চিত্রসাথী নিউজ💐💐
ভালোবাসা, প্রেম জন্ম-জন্মান্তর ধরে কি বয়ে চলে মরণের উর্ধে। বোধ হয় তাই, তাইতো অসুস্থ মনীষার স্মৃতিতে ভেসে আসে পূর্বজন্মের কাঙ্খিত প্রেমের কিছু মুহুর্ত যার পরিণতি লাভ সম্ভব হয়েছিল পাহাড়ে উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণা করতে আসা সন্দীপকে দেখে। পূর্বজীবনের 'মমতা ভিলা'-য় দিনের পর দিন ঘটে যাওয়ার স্মৃতি রোমন্থন মনীষাকে উদ্বেল করে তুলেছিল, মনীষার বাবা বিশ্বজিৎ বাবু বুঝতে পারেছিলেন মেয়ের কোনো অসুখ নেই সে নিতান্তই একজন জাতিশ্বর। যার পূর্ব জন্মে একজন দাদা ছিলো। তিন-তিনজন মাতৃহারা ভাইপো-ভাইঝি তোজো, বাবাই, মোমো যাদেরকে মানুষ করতে জীবনের সব সখ-আহ্লাদ জলাঞ্জলী দিয়েছিল পূর্বজন্মের পায়েল যে এই জন্মের মণীষা। আর ছিল তার ভালোবাসা সৌম্যর টুকরো টুকরো ভেসে আসা স্মৃতি। মনীষার সব মনে পড়ে গেল সন্দীপকে দেখে। পূর্বজন্মের সৌম্যর কথা, নিতাই দা, পুঁথির কথা, কিছু না জেনে পায়েলকে মন দিয়ে
ফেলেছিল অর্ঘ্য, তার কথা, তার দাদা-বৌদির কথা। পায়েল জেনেছিল বিপুল ঐশ্বর্যে মানুষ হয়েও ভালোবাসাটা ভালোবাসাই। সেখানে অর্থ, যশ, সামাজিক প্রতিষ্ঠা কোনো কিছুই কোনো কিছুকে প্রভাবিত করতে পারে না। তাইতো সে চরম সমর্পন চেয়েছিলো সৌমার কাছে। কিন্তু ভাগ্যের নিষ্ঠুর পরিহাসে সে সম্পর্ক পরিনতি পায়নি। অসময়ে এক গাড়ী দুর্ঘটনায় চলে যেতে হয়েছিল পায়েলকে। আর সৌম্য দেখিয়েছিল এই পরিবারের প্রতি তার কৃতজ্ঞতা। তাই তো সে তার জীবন দিয়ে পায়েলের দাদাকে বাঁচিয়েছিল। কালকের সৌম্য আজকের সন্দীপ হয়ে এসেছে কিনা তা মনীষার জানা নেই। কিন্তু কালকের পায়েল যে আজকের মনীষা একথাটা ধ্রুব সত্য। তাইতো সন্দীপকে দেখে মনীষার সব পূর্বস্মৃতি মনে পড়ে গেছে। আবার সে ফিরে পেয়েছে তার সেই হারিয়ে যাওয়া দাদা, তোজো, বাবাই, মোমো, নিতাইদা সবাইকে। কিন্তু কালের অন্তরালে তাদের বয়স বেড়েছে। 'মমতা ভিলা'র
আমূল পরিবর্তন হয়েছে পায়েলের দাদার কাছে এটা অবিশ্বাস্য, এমনটা কি হতে পারে? এও কি সম্ভব? এক্ষেত্রে সন্দীপের ভূমিকাও কম নয়। সে-ই তো মনীষার সাথে বন্ধুর মতো মিশে তাকে আশ্বাস দিয়েছিল তার পূর্বজন্মের হারিয়ে যাওয়া মমতা ভিলা ও তার পরিবারকে ফিরিয়ে দেওয়ার।
এ প্রতীক্ষা একটা জীবনের প্রতীক্ষা নয়। এ প্রতীক্ষা অন্তহীন ভালোবাসার স্বাক্ষর হয়ে থাকবে দুই জন্মের অভিজ্ঞতায়। সেখানে একাকার হয়ে থাকবে মনীষা-পায়েল, সন্দীপ-সৌম্য।
কাহিনী ও পরিচালনা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, অভিনয় করেছেন অস্মিতা মুখার্জী,বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, রাজা চ্যাটার্জী,অর্ণব ব্যানার্জী,দেবাশীষ গাঙ্গুলী, দীপান্বিতা বিশ্বাস,তমশা, শীর্ষ রক্ষিত,রীনা মিত্র,আরফিন রানা,শতাব্দী ভট্টাচার্য, ও প্রয়াত অভিষেক চ্যাটার্জী।ছবিটি আগামী ৩রা জানুয়ারিতে সারা বাংলায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে।
0 Comments