#প্রিয়চিত্রসাথী নিউজ💐
চাইল্ড ইন নিড ইনস্টিটিউট তাদের অগ্রগণ্য উদ্যোগ অ্যাডোলেসেন্ট রিসোর্স সেন্টার (এ আর সি)–এর ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন করছে। একই সাথে সংস্থা উদযাপন করছে শিশু, নারী ও প্রান্তিক সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নে ৫০ বছরের উল্লেখযোগ্য পথচলা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা—ড. ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য, সিইও, সিনি; শ্রীমতী তুলিকা দাস, চেয়ারপার্সন, ডব্লিউবিসিপিসিআর; শ্রীমতী অনন্যা চক্রবর্তী চ্যাটার্জি, অ্যাডভাইজর, ডব্লিউবিসিপিসিআর; বিশেষ অতিথি ড. স্বপন সরেন, ডিরেক্টর অফ হেলথ সার্ভিসেস; ড. কুণাল কান্তি দে, এডিএইচএস (অ্যাডোলেসেন্ট হেলথ), পশ্চিমবঙ্গ সরকার; এবং বিশেষ অতিথি ড. মনজুর হোসেন, চিফ অফ ফিল্ড অফিস, ইউনিসেফ পশ্চিমবঙ্গ—যাঁরা এআরসির যাত্রাপথ ও কিশোর-কিশোরী উন্নয়নে এর রূপান্তরমূলক প্রভাবকে স্বীকৃতি জানাতে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ড. ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য বলেন, “এআরসি ২৫ বছর পূর্ণ করেছে এবং আজ এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও অপরিহার্য কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। আজকের অনুষ্ঠানে গত ২৫ বছরে কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে যে পরিবর্তন এসেছে তা পর্যালোচনা করছি এবং আগামী ২৫ বছরের রোডম্যাপ নিয়েও আলোচনা করছি। আমি বলতে চাই, অভিভাবকদের অবশ্যই আগামী প্রজন্মকে সময় দিতে হবে। সবাই নিজের জীবন, টেলিভিশন ও মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকেন; কিন্তু সন্তানদের সঙ্গে বেশি করে সময় কাটানো প্রয়োজন। তাদের সঠিক দিকনির্দেশ, পরামর্শ ও কাউন্সেলিং দরকার। কৈশোরে আমরা তাদের কথা শুনব, পাশে দাঁড়াব এবং সমর্থন করব।”
২০০০ সালে যাত্রা শুরু করার পর থেকে এআরসি সিআইএনআই–এর মিশনের মূল ভিত্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার, নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ, মানসিক স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পুষ্টি, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ, নেতৃত্ব বিকাশ এবং কমিউনিটি এনগেজমেন্ট—এই সবক্ষেত্রে সমন্বিত কার্যক্রমের মাধ্যমে এটি কিশোর-কিশোরী ও যুবদের ক্ষমতায়নকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে শক্তিশালী উপস্থিতি এবং সরকারি বিভাগ, দাতা সংস্থা, এনজিও ও সিবিও–র সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এ আর সি রাষ্ট্ৰীয় কিশোর স্বাস্থ্য কর্মসূচি এবং স্কুল হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস প্রোগ্রাম–এর মতো জাতীয় প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পাশাপাশি তৈরি করেছে কার্যকর আই ই সি ও প্রশিক্ষণ উপকরণ এবং কিশোর-কিশোরী নেতৃত্বাধীন অ্যাডভোকেসি প্ল্যাটফর্ম যা যুবদের অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী করেছে।
উন্মোচিত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রগুলির মধ্যে ছিল:
‘ইউথস্কেপস: ২৫ স্টোরিজ অফ চেঞ্জ’ – এআরসি কেস স্টাডি বুকলেট
‘এমপাওয়ারিং গার্লস: এ ডেকেড অফ অ্যাচিভমেন্ট (২০১১–২০২১)’ – এসএজি-কেপি কনভার্জেন্স প্রোগ্রামের ইমপ্যাক্ট রিপোর্ট
এআরসি ভিশনারি ডকুমেন্ট
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে ১৩ জন কিশোর-কিশোরীকে তাঁদের অসাধারণ সাফল্যের জন্য সম্মানিত করা হয়—যা ধারাবাহিক কিশোর-কিশোরী অংশগ্রহণ ও নেতৃত্ব বিকাশের শক্তিশালী ফলাফলকে প্রতিফলিত করে।
ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি হিসেবে এআরসি একটি জ্ঞান ও উদ্ভাবনভিত্তিক সেন্টার অফ এক্সেলেন্স হিসেবে বিকশিত হওয়ার লক্ষ্য নিয়েছে—সরকারের টেকনিক্যাল পার্টনার হিসেবে ভূমিকা আরও গভীর করা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নীতিনির্ধারণে প্রভাব ফেলা, গবেষণানির্ভর কর্মসূচিকে শক্তিশালী করা, জলবায়ু পরিবর্তন ও ডিজিটাল লিটারেসির মতো উদীয়মান বিষয় মোকাবিলা করা এবং প্রোগ্রাম ডিজাইন, মনিটরিং ও স্কেল-আপ আরও উন্নত করা যাতে সারা ভারতের কিশোর-কিশোরী ও যুবসমাজ দীর্ঘমেয়াদে টেকসই ও প্রমাণভিত্তিক সুফল পেতে পারে।
0 Comments