6/recent/ticker-posts

'জয় জয়ন্তীর' র আয়োজনে মহাসমারোহে পালিত হল বিশ্ব সংগীত দিবস

বিশ্বের প্রতিটি মানুষ কমবেশি সবাই সংগীতকে ভালোবাসে। সরাসরি কিংবা পরোক্ষ ভাবে যাই হোকনা কেন সংগীত সকলকে  বেশ চাঙ্গা করে তোলে সুরের যাদুতে।জয় জয়ন্তী তাঁদের দ্বিতীয় বর্ষের সংগীতময় জার্নি পালন করলো দঃ কলকাতার নিরঞ্জন সদনে। প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে যার শুভ  উদ্বোধন করেন বিখ্যাত সংগীত পরিচালক অশোক ভদ্র।তিনি এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।পাশাপাশি দর্শক শ্রোতাদের আবদার মিটিয়ে তার সুরারোপিত গান পরিবেশন করেছেন।এটা একটা বিরাট প্রাপ্তি।
'বিশ্ব সঙ্গীত দিবস' - এই দিনটি বার্ষিক অনুষ্ঠানে সংস্থার প্রিন্সিপাল সুচন্দ্রা ঘোষ চক্রবর্তী জানান এই দিনটি নির্বাচিত করার মূল কারণ হলো সঙ্গীতের মধ্যে লুকিয়ে আছে তিনটি কলা - নৃত্য, বাদ্য ও সঙ্গীত। সুতরাং, যে অনুষ্ঠানের মধ্যে এই তিনটি কলাই উপস্থিত সেই অনুষ্ঠানটি প্রত্যক্ষভাবে সঙ্গীত দিবস হিসেবে পরিপূর্ণতা পায়। তাই বিশেষ কোনো কবি, লেখক বা পরিচালকের সৃষ্টিকে কেন্দ্র না করে ব্যপ্তিকে বিস্তারিত করে বিভিন্ন ঘরানার গান পরিবেশন করার প্রচেষ্টা করা হয়।

 বিশেষ করে,  'জয় জয়ন্তী" র সুযোগ্যা ছাত্রী ঈশানি মণ্ডল যে তিনটি গান পরিবেশন করে 
১. পা মা গা রে সা, বাংলা আধুনিক
২. মেরা দিল ইয়ে পুকারে, হিন্দি ছবির গান
৩. প্রেটি লিটল বেবি, পাশ্চাত্য গান। 
এই কারণেই জয়জয়ন্তী - র প্রিন্সিপালের ( সুচন্দ্রা ঘোষ চক্রবর্তী, সঙ্গীত প্রভাকর, এলাহাবাদ)সিদ্ধান্ত যে শিক্ষার্থীদের প্রথম ছয় মাস ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নেওয়া আবশ্যক। তবেই সে সব ধরনের গানের মধ্যে দিয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পারবে।
তার ছাত্র ছাত্রীদের সুচারু অংশগ্রহণ এটা প্রমান করে দ্বিতীয় বর্ষে জয় জয়ন্তী অনেকটা দূর এগিয়েছে,আরো এগিয়ে যেতে হবে।ছোট বড় সকলের পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ।ছিলেন স্পেশাল চাইল্ডের অংশগ্রহণও।

সুচন্দ্রা দেবী ইতিমধ্যে বাপ্পি লাহিড়ী থেকে শুরু করে অন্যান্য শিল্পীদের সাথে একক অনুষ্ঠান করে খ্যাতি অর্জন করেছে।অনুষ্ঠান সারেগামা খ্যাত সুনয়না ঘোষ,সংগীত প্রভাকর এলাহাবাদ শিল্পী রীতা ঘোষ গান গেয়ে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন,পাশাপাশি অনুষ্ঠানের আহবায়ক জয়ন্ত চক্রবর্তী(জয়) অশোক ভদ্র র সাথে ডুয়েট গান করে সুরেলা সংগীত উপহার দেন। রজত গাঙ্গুলী ও তার টিম বাদ্য যন্ত্রের দ্বারা সমগ্র অনুষ্ঠানটিতে সঙ্গত দিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে জ্যোতিশুভ্র চক্রবর্তী সকলকে মেডেল উপহার দিয়ে সম্মাননা জানান।সমগ্র অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন তাপস রায়।সংগীত প্রভাকর এলাহাবাদ শিল্পী তথা "জয় জয়ন্তী'র প্রিন্সিপাল সুচন্দ্রা ঘোষচক্রবর্তী সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।এই ভাবে ধীর গতি হলেও সুচারু উপস্থাপনার মাধ্যমে 'জয় জয়ন্তী "এগিয়ে চলুক তার আপন লক্ষে এই শুভেচ্ছা রইল।

Post a Comment

0 Comments